কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপর্যস্ত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২১ ঘণ্টা পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি
আগুন। এখনো ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার
সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স-এর ১২ জন কর্মী নিখোঁজ ছিলেন। এরমধ্যে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।এখনো একজনের পরিচয় মেলেনি। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী সহ দগ্ধ হয়েছেন আরও চার শতাধিক।
ফায়ার সার্ভিসের নিহত ও নিখোঁজ কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো।
যারা মারা গেছেন:
১. মো. রানা মিয়া, ফায়ারফাইটার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-মানিকগঞ্জ (নিহত)। ২. মো. মনিরুজ্জামান, নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-কুমিল্লা (নিহত)। ৩. আলাউদ্দিন, ফায়ারফাইটার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, জেলা-নোয়াখালী (নিহত)। ৪. মো. শাকিল তরফদার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন (নিহত)। ৫. মিঠু দেওয়ান, লিডার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-রাঙামাটি (নিহত)। ৬. নিপন চাকমা, লিডার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-রাঙামাটি (নিহত)। ৭. রমজানুল ইসলাম, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-শেরপুর (নিহত)। ৮. সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-ফেনী (নিহত)
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন:
এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন মো. ইমরান হোসেন মজুমদার, লিডার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-চাঁদপুর (নিখোঁজ)। শফিউল ইসলাম, ফায়ারফাইটার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-সিরাজগঞ্জ (নিখোঁজ)। মো. রবিউল ইসলাম, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-নওগাঁ (নিখোঁজ)। ফরিদুজ্জামান, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-রংপুর (নিখোঁজ)।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা
ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক
থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পরবর্তী সময়ে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। বর্তমানে
ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।